উমরাহ চারটি বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত। যথাঃ ইহরাম, পবিত্র ঘর প্রদক্ষিণ বা তাওয়াফ, আল-সাফা ও আল-মারওয়ার মধ্যে সাঈ এবং মাথা মুণ্ডন করা বা চুল কাটা।
১ – ইহরাম।
২ – তাওয়াফ।
৩ – সাঈ।
৪ – মাথা ন্যাড়া করা বা চুল কাটা।
আল্লাহর মেহমান হওয়া!
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর মেহমান তিনজনঃ গাজী অর্থাৎ জিহাদে জয়ী যোদ্ধা, হজ্জ্বপালনকারী এবং মুতামির অর্থাৎ উমরাহ পালনকারী।” [নাসায়ী ২৬২৫]
ভাবুন তো! আল্লাহর মেহমানদারীতে আপনি একজন মেহমান। এটি আল্লাহর সান্নিধ্যের এবং তাঁর পুরস্কারের একটি অসাধরণ মুহূর্ত। আপনি বাইতুল্লাহ পরিদর্শন এবং উমরাহ পালন করার পরে এমন এক গভীর কৃতজ্ঞতা উপলব্ধি ও অন্তরের প্রশান্তি অনুভব করবেন যা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দেয়ার মত। আল্লাহ সবাইকে এই সৌভাগ্যের তাওফিক দিন। সব মুসলমানদের জন্য উমরাহ হচ্ছে সর্বোত্তম নিয়ামত।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা হজ্জ্বের পর উমরা এবং উমরার পর হজ্জ করবে, কেননা তা অভাব অনটন ও পাপকে দূর করে দেয় যেমন হাপর লোহার মরিচা দূর করে থাকে।” [তিরমিযী ৭৩৮ এবং নাসায়ী ২৬৩১]
আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এক উমরাহ থেকে অন্য উমরাহর মধ্যে যা কিছু আছে তা তার কাফফারা এবং ‘হজ্জ্ব মাবরুর’ জান্নাতের চেয়ে কম সওয়াব নিয়ে আসে না।” [নাসায়ী ২৬৩০ এবং ইবনে মাজাহ ২৮৮৮]
চিন্তা করে দেখুন, উমরাহ পালন করলে আপনার গুনাহ মাফ হবে এবং আপনি অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবেন। এমন সুযোগ আর কোথায় পাবেন! তাই যখন আল্লাহ আপনাকে উমরাহ করার সময় ও সুযোগ দেন, তখন আপনাকে আন্তরিকভাবে এই প্রতিদান অন্বেষণ করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে উমরাহ এর এই বিশেষ পুরস্কার ভালোবাসি। এবং চমৎকার বিষয় হল যে এটি শুধুমাত্র প্রথমবারের জন্য নয়। আপনি যতবার যাবেন, আপনার পাপ ক্ষমা করা হবে – এটাই ইসলামের সৌন্দর্য।
সুতরাং, ক্ষমা চাইতে থাকুন, কল্যাণ আসবে। এটা আল্লাহর ওয়াদা! পাপের ক্ষমা কে না চায়? সমস্ত মুসলমান উমরাহ করার আশা করে। এটি উমরাহর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। মুসলিমরা উমরাহর মাধ্যমে এর থেকে বেশি আর কি অনুগ্রহ চাইতে পারে? গুনাহ মাফ পাওয়া সত্যিই একটি বিরাট ফযীলত।
আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বৃদ্ধ, যুবক, দুর্বল ও মহিলাদের জিহাদ হল হজ্জ্ব ও উমরাহ।” [নাসায়ী ২৬২৬]
সুতরাং কল্পনা করুন এই পুরস্কারটি যদি জিহাদের সমতুল্য হয় তবে তা কেমন হবে! এটাই ইসলামের সৌন্দর্য। এই হাদিসের মাধ্যমে যারা শক্তিশালী নয়, তাদেরও আল্লাহ তাআলা এই প্রতিদান দিচ্ছেন। এবং এটি তাদের আশা এবং মূল্যবান পুরস্কার দেয়।
উমরাহ আল্লাহর নেয়ামত এবং উমরাহ পালনের মাধ্যমে যে অভ্যন্তরীণ তৃপ্তি ও প্রশান্তি আসে,তা উপভোগ করতে মুসলমানদের বেশি বেশি উমরা পালন করা উচিত।
আমরা আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের
কাস্টমাইজ উমরাহ প্যাকেজ করে থাকি
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
গত ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো ২০২৫ সালেও আমরা মক্কায় ই’তেকাফে বসতে চাই। আপনারা যারা ই’তেকাফে বসতে ইচ্ছুক তারা যেন কুইক ডিসিশন নেই তাহলে আমাদের সাশ্রয়ী মূল্যে টিকেট করতে সুবিধা হবে এবং জন প্রতি প্যাকেজ কস্ট কমানো যাবে।
ডিটেইল পরিকল্পনা:
আমরা যাওয়ার ডেট ফিক্সড করেছি ১৩ই মার্চ রাত ১: ৫০ (অর্থাৎ ১৪ই মার্চ পড়ে যায়)। সে ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার থাকার কারণে আমরা সবাই অফিস শেষ করে রাত ১:৫০ Saudi Airlince ফ্লাইটে যেতে অসুবিধা হবে না ইনশাল্লাহ । যদি ১লা মার্চ সৌদি আরবে রমাদান মাস শুরু হয় তাহলে ৩০ শে মার্চ রমাদান শেষ হবে। ৩১ শে মার্চ সকালে ঈদের সালাত আদায় করে আমরা দুপুর ৩:০৫ এর Saudi Airline এর ডাইরেক্ট ফ্লাইটে রওনা দিব। সে ক্ষেত্রে আমরা ঢাকায় পৌঁছাব ঈদের আগের দিন রাত ১২:৪৫ (বাংলাদেশ সময়) ইনশাআল্লাহ।
আবার যদি ঈদের চাঁদ একদিন আগে দেখা যায় অথবা ২৯ টা সিয়াম হয় সেক্ষেত্রে আমরা ঈদের দিন বাংলাদেশে পৌঁছাবো-এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
১৯শে মার্চ (১৯শে রমাদান সৌদি আরব সময়): মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে ভোরে বাসে করে রওনা দিবো।মক্কায় পৌছে হোটেলে লাগেজ রেখে উমরাহ করে মসজিদে ই’তেকাফের জায়গায় অবস্থান করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সমস্ত কিছু সহজ করে দিক -আমীন।
৩১ মার্চ: সকালে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করে আমরা হোটেলের উদ্দেশ্যে যাব এবং কিছু সময় পর বাসে করে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা দিব, ঈদের আগের রাতে বাংলাদেশে পৌঁছে ফ্যামিলির সাথে ঈদ করবো ইন শা আল্লাহ (ঈদ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)
আগে ডিসিশন নিলে সুবিধা হচ্ছে:
১. এয়ারলাইনস টিকিট কম টাকায় কেনা যেতে পারে।
২. একইভাবে হোটেলসহ অন্যান্য খরচ ও কমে আসতে পারে।
৩. একই এয়ারলাইনস এ টিকিট কাটা সম্ভব হবে যেটা এই বছর সম্ভব হয়নি দেরীতে ডিসিশন নেওয়ায় ও টিকিট এভেইলএবেল না থাকায়।
মদিনা: মদিনায় ৩ স্টার মানের হোটেলে ৫ রাত থাকবো আমরা ইন শা আল্লাহ ৪/৫ মিনিট ওয়াকিং ডিসটেন্স) ।
মক্কা: যেহেতু আমরা সবাই ই’তিকাফ এ বসবো, মক্কায় ১টা রুম নেয়া হবে যেখানে লাগেজ গুলো রাখা হবে ইন শা আল্লাহ। কেউ যদি সৌদি আরবে ঈদ করার পরও থাকতে চায় তাতেও কোন অসুবিধা নাই, ব্যবস্থা করে ফেলা যাবে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় মসজিদুল হারাম এর এক্সটেনশন বিল্ডিং এ আমরা থাকবো ইন শা আল্লাহ।
শর্ত:
* কস্ট করার এবং একে অপরের জান্নাতের ভাই-বোন হিসাবে সহযোগিতা করার মানুসিকতা নিয়ে যেতে হবে যেন আমরা সবাইকে নিয়ে জান্নাত যেতে পারি বিনা হিসাবে (আল্লাহর অনুগ্রহে)।
ফলাফল:
১. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
২. নিজের ঈমানকে ঝালাই করে নেওয়া
৩. এক বছরের গুনাহ মাফ করে নেওয়া (হাদিসে আসছে এক উমরাহ থেকে আর এক উমরাহ গুনা মাফ করে দেওয়া হয়)
৪. হাদিসে আসছে, রমাদানে উমরাহ করা মানে একটি হাজ্জ ও একটি উমরাহ করার সমান সোয়াব।
৫. আরেক হাদিসে আসছে রমদানে উমরাহ করা যেন রাসূল (সা:) এর সাথে হাজ্জ করা।
৬. আরো অনেক কিছু যা শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহানাতায়া’লাই ভালো জানেন।
খরচ: টাকা ১,৬০,০০০ মধ্যে হবার সম্ভাবনা (পার পারসন) খরচ কমলে বা বাড়লে সেটাও জানানো হবে। যত দেরি হবে তত কস্টিং বাড়বে আর শেষ ১৫ দিনের কস্টিং তো এমনিতেই অনেক বেশি।
খাবার: প্রত্যেকের খাবারের অভ্যাস/রুচি/সময় একরকম না হওয়ায় এটা যার যার তার তার। তবে সবাই মিলে একসাথে থাকলে সব কিছুই সহজে করা সম্ভব তাই এবার আমরা রামাদানের মধ্যে শুধু সাহরির ব্যাবস্তা করবো ইন শা আল্লাহ۔ (খাবার খরচ প্যাকেজ কস্ট এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নাই)
চলুন আমরা একত্রে যাই। যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
সর্বোপরি আমাদের রয়েছে মক্কা ও মদিনাতে বাংলা ও এরাবিক ভাষায় সুদক্ষ গাইড, যাদের মাধ্যমে হাজ্জিদের সেবা প্রদান করা হয়।